Saturday, August 20, 2016

ইরা ও সুশান্ত


গাড়ির ধোয়া মিলিয়ে গেল, শান্ত গোধুলির রাস্তায়,
কোমর  থেকে হাত নেমে গেল সুশান্তর, ভারী লাগছে কাঁধটা।
নিজের বিচারের নিস্পত্তি, বিনা প্রতিদ্বন্দিতায়,
অসহায়ের মত সহ্য করে নিল সুশান্তর ক্লান্ত শরীর।
জিতে গেল ইরা,
জিতে নিল স্বাধীনতা, আর জিতে নিল দুরত্ব।
ইরা সময় নিল না ভাবতে, আধা প্রমান, আধা কল্পিত অপমান,
এই ছিল সান্নিধ্যের উত্তাপের ক্রম নিস্পেষণ।
সুশান্ত বদলে যেতে পারে, কিন্তু পারে না বদলাতে,
এই তার অপরাধ, পরাজয়ের পেট্রল পোড়া ধোয়ায়,
হাঁটু গেড়ে বসে, ভাবনাকে বিদায় দেয় সুশান্ত।
প্রচেষ্টায় ঘাটতি ছিলো  না তার,
শুধু প্রচ্ছন্নতা ছিল না ইরার কাছে।
তাই পরাজয় কে আঁকড়ে ধরল সন্দেহর রশি।
এতদিন সুশান্ত একহাতে ধরেছিল তার শ্রষ্ঠা কে,
অন্য হাতে সাজাচ্ছিল তার বিস্তার কে,
শুধু পারেনি মেলাতে দুজনকে।
দুপাশের তীব্র আকর্ষণে যখন সে খোয়াতে বসেছে,
তার দুই হাত - ভবিষ্যত ও ভূত ,
সে বেছে নিয়েছে বর্তমানের হাসি খুশি অবস্থানকে।
নুয়ে পড়া কাঁধ থেকে ঝুলে পরা মাথা তুলে একবার আবার,
সামনের দিকে তাকায়  সুশান্ত,
তারপর শ্রান্তি ভেঙ্গে উঠে পরে, খোলে বন্ধ দরজা,
আরামে এলিয়ে দিয়ে শরীর, নিঃশব্দ নিঃশ্বাসে প্রস্রাব করে মুক্তির,
হালকা হাসি ঠোঁটের কনে ঠেলে বিস্তার করে বাঁধভাঙ্গা মনের।

No comments:

Post a Comment